শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছিনতাইকারী হাত থেকে সাংবাদিক জীবন অলৌকিক ক্ষমতায় বেঁচে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ হঠাৎ সাংবাদিক জীবনের সাথে রাত ১২ টা ১ মিনিটে মানুষ রুপি “জীনে”র দেখা। কথাটা কেমন যেন মনে হচ্ছে তাই না? হওয়াটাই স্বাভাবিক এমন ঘটনা অবাস্তব মনে হলেও তা সত্য। এবিষয়ে জানতে চাইলে দৈনিক লাখো কন্ঠ, রাজশাহীর আলো, নতুন সময় টেলিভিশন রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি কর্মরত সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান জীবন বলেন,যা ঘটেছে তা একটি অলৌকিক ঘটনা

আমার জীবনের একটি স্বরণীয় ঘটনা বলে মনে করি,গতকাল ভবানীগন্জের আমার এক বন্ধুর একটি বিষয় নিয়ে বানেশ্বর বাজারে সমাধান করার জন্য কিছু লোকজন নিয়ে বসছিলাম।

সমস্যা সামাধান করতে রাত প্রায় ১১ টা পার হয়ে যায়, পরে বাহিরের সবাইকে বিদায় দিয়ে আমি সহ আমার ভবানীগন্জ বাজারের বন্ধু ও বড় ভাই সহ তিনটি মটর সাইকেল করে মোট ৫ জন তাহেরপুর বাগমারার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই।

আমি আমার গাড়িতে একা ও বাকি দুইটি গাড়িতে ২ জন করে ছিল।
পথে মধ্যে পালি বাজার পার হয়ে দরগামাড়িয়া সরঃপ্রাঃবিদ্যালয়ের কাছে গেলেই ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে রাস্তা টি ব্লক করা দেখতে পাই,আমি পিছনের সবাইকে সাবধান থাকতে বলে আমি দূর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খুরশিদ বানু কণা আপু কে ফোন করে বিষটি জানাই
সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ খুরশিদ বানু কণা ডিউটি রত পুলিশ অফিসার কে ঘটনাস্থলে দূত পৌঁছাতে নির্দেশ দেন।
পরে আমরা সবাই মিলে নিজেদের আত্মরক্ষার পরামর্শ করি।
সবাই মিলে চারিদিকে একটু খোঁজা খুঁজি করে কাউকে দেখতে পাইনা।

একটু উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখি একটি ৬০/৬৫ বছর বয়সের মানুষ আমাদের দিকে আসছে, কাছে আসলে আমি তাকে তার নাম জানতে চাইলে তিনি তার নাম বলেন যা কোনদিন মনে হয় শুনিনি, তার বাসা কোথায় বললে বলেন কালিতলা,
এখন বাজে রাত ১২ টা আপনি কোথায় যান, বলে সামনে একটু কাজ আছে, তিনি লুঙ্গি পরা গায়ে গামছা জড়ানো, মুখে দাঁড়ি আছে, গামছার জড়ানো দেখে মনে হয় হাতে কিছু আছে আমি গামছা সরিয়ে হাতের ভিতরে কি আছে দেখি তার হাতে দুই টি বিড়ি। যতই প্রশ্ন করি সুন্দর ভাবে জবাব দিলেন।
আমি বললাম চাচা দেখেন আপনার এলাকায় ছিনতাই করার জন্য রাস্তায় এগুলো দিয়ে বেরিগেড দিয়েছে। আমি থানায় ফোন দিয়েছি খুব দূত পুলিশ আসবে আপনিও আমাদের সাথে থাকবেন।
ভদ্রলোক বলেন পুলিশকে ফোন দিয়ে ভালো করছেন রাস্তাটিতে একটু সমস্যা রয়েছে, আপনারা যদি একা আসতেন তা হলে হয়তো সবকিছু কেড়ে নিয়ে চলে যেত, আপনারা কয়েক জন বলে ভয়ে হয়তো চলে গেছে।
সমস্যা নাই পুলিশ কে সব বলবেন তারা একটু টহল দিলে ভয়ে আর এমন কাজ করবে না।
আমি বন্ধু হাফিকে তার ছবি ও রাস্তার ওয়াসি দিয়ে বেরিগেড দেওয়ার ছবি তুলতে বলি।

হাফিজ আমার কথা মত রাস্তার ছবি ও ভদ্রলোকের ছবি মোবাইলে তুলে।

আমরা সবাই মিলে একটু পুলিশ ভাই দের জন্য অপেক্ষা করলে ভদ্রলোক বলেন বাবা আমি চলে যাই রাত অনেক হয়েছে, আমি বললাম যান বাবা আমরা পুলিশ সদস্যরা আসলেই চলে যাব।

কিছুক্ষন পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে রাস্তা বেরিগেডের বিষয় বলি।
তারা এসে আশেপাশে খোঁজা খুঁজি করে কাউকে দেখতে পাননা।
পরে আমাকে এস আই রইচ বলে আপনারা এখানে আসার পর কি কাউকে দেখতে পেয়েছেন,
আমি বললাম আমরা কাউকে দেখতে পাইনি তবে একটি বয়স্ক ভদ্রলোক আসছিল আমরা তার ছবি তুলে রেখেছি তার বাড়ি এখানে বললো। এস আই রইচ কিছু অনুসন্ধানের জন্য ছবি টি দেখতে চাইলে আমি ফোনে বাহির করে ছবি দেখাতে গেলে সবাই চমকে যাই।
আবাক হয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। সবকয়টা ছবি ঠিক থাকলে ভদ্রলোকের ছবি সাদা।
কোন মানুষের ছবির ছাপ নাই পিছনে যাকিছু ছিল ছবিতে উঠলেও ভদ্রলোকের চেহারা ছবিতে দেখতে পাওয়া যায় না।
আমরা সবাই বিষয় টি নিয়ে চিন্তার ভিতরে পড়ে যাই।
পরে ওসি খুরশিদ বানু কণা আমাদের নিরাপত্তা সহকারে বাড়িতে পাঠান।

পরদিন সকাল ১০ টার সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু জানা অজানা তথ্য পাই তা থেকে ধারনা করছি ছিনতাইকারীর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মহান আল্লাহ মানুষ রুপি কাউকে পাঠিয়েছেন।

এবিষয়ে এক মাওলানা কে বললে তিনি আমার ধারনা টাই হয়তো সত্য বলে মনে করেন। তবে আপনাদের উপকার করার জন্য সে আসছিল।

পরিশেষে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।এতো বড় বিপদ হতে রক্ষা করার জন্য। সেইসাথে যে ভদ্রলোক আসছিল তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি।

আরো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি দূর্গাপুর অফিসার ইনচার্জ খুরশিদ বানু কণা আপু কে তিনি দূত পুলিশ সদস্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য।

উক্তঘটনা আমি সহ ৫ বন্ধুর চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সকল বিপদ থেকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালা রক্ষা করতে পারেন।তিনি চাইলে অন্য কেউ তাকে ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
আমিন

এই বিভাগের আরো খবর